মহান ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক ছিলেন বাংলাদেশের একজন মুক্তমনা সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে কবি, প্রবন্ধকার ও গবেষক।
কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও লেখনী সংক্রান্ত গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে 'রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য' উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন চিকিৎসক।
ভাষাসৈনিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সমালোচক আহমদ রফিকের প্রয়াণে গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন)।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
মহাপরিচালক বলেন, আহমদ রফিক দেশের মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং আজীবন বাংলাভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করেছেন। আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য তাঁর অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি ছিলেন মহান ভাষা আন্দোলনের একজন সাহসী সৈনিক, আজীবন মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় এবং সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মনে করে, আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর প্রজ্ঞা, লেখনী ও চিন্তাধারা জাতির সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে রাজধানীর বারডেমথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন