সকালে কফি হয়তো আপনাকে সাময়িকভাবে চাঙা করে, কিন্তু এটি সারাদিন ধরে শক্তি দেয় না। বিশেষ করে ৪০ বছরের পর, শরীরের প্রোটিন ও ফাইবার চাহিদা বাড়ে, এবং স্থির শক্তি ধরে রাখতে খাদ্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে হয়। তারা কলিংউড, বোর্ড সার্টিফাইড স্পোর্টস ডায়েটিশিয়ান, বলেন, ‘কফি আপনাকে এক ঝটকা শক্তি দেয়, কিন্তু প্রকৃত শক্তি আসে পুষ্টিকর নাস্তা থেকে। সঠিক খাবার আপনার পেশী ও মস্তিষ্ককে দিনভর সক্রিয় রাখে।’
এখানে ৪০ বছর পর কফির চেয়ে শক্তি বৃদ্ধি করে এমন ৭টি সকালের নাস্তা সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-
১. বাদাম মাখন এবং বেরিসহ ওটমিল
ওটমিল হলো জটিল কার্বোহাইড্রেটের একটি চমৎকার উৎস, যা ধীরে ধীরে শক্তি প্রদান করে। এতে থাকা বাদাম মাখন স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ করে, আর বেরি সমৃদ্ধ ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। এটি শুধু দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয় না, মনোযোগও ধরে রাখে। কলিংউড বলেন, ‘ওটসকে ভাবুন ধীর শক্তি নির্গমনের উৎস হিসেবে- ক্যাফিনের ঝাঁকুনি ছাড়াই আপনার মন কাজ করবে।’
২. ডিম
ডিম হলো প্রোটিন এবং বি-ভিটামিনের শক্তিশালী উৎস। এটি পেশী ও মস্তিষ্কের জন্য স্থির শক্তি সরবরাহ করে। সকালে ডিম খাওয়া আপনাকে শুধু পুষ্টি দেয় না, বরং ঘণ্টা পর ঘণ্টা তৃপ্ত রাখে। কলিংউড বলেন, ‘ডিম একটি সহজ, ঝামেলামুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর সকালের খাবার, যা আপনাকে দিনের শুরুতেই শক্তিশালী করে।’
৩. ফল ও বীজসহ দই
দই প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিকের চমৎকার উৎস। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য সমর্থন করে এবং শক্তি বিপাক বাড়ায়। এতে থাকা ফল এবং বীজ শুধু স্বাদ নয়, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও যোগ করে। কলিংউড বলেন, ‘এটি একটি পারফেক্ট সকালের খাবার যা সত্যিকারের স্থায়ী শক্তি দেয়, কফির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।’
৪. অ্যাভোকাডো ও স্মোকড স্যামনসহ হোল গ্রেইন টোস্ট
এই নাস্তা জটিল কার্বোহাইড্রেট, ওমেগা-৩ এবং হার্ট-স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ। এটি মনোযোগ ধরে রাখে এবং শক্তি স্থিতিশীল রাখে। কলিংউড বলেন, ‘এই সংমিশ্রণ সারা সকাল আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ রাখে এবং আপনাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে।’
৫. প্রোটিন পাউডার, পালং শাক ও কলা দিয়ে স্মুদি
যদি সকালে সময় কম থাকে, একটি দ্রুত স্মুদি চমৎকার বিকল্প। প্রোটিন পাউডার, পালং শাক এবং কলা দিয়ে তৈরি স্মুদি দ্রুত হজম হয়, পুষ্টি ও ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ। কলিংউড বলেন, ‘সবুজ স্মুদি আপনাকে ভেতর থেকে জ্বালানি দেয়, ক্যাফিনের ঝাঁকুনি ছাড়াই।’
৬. আনারস বা পীচসহ কটেজ পনির
কটেজ পনির প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এতে রক্তে শর্করা হঠাৎ বৃদ্ধি পায় না, তাই এটি দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তি প্রদান করে। কলিংউড বলেন, ‘এটি একটি ক্রিমি, উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত শুরু যা আপনার সকালের শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে, কফির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর।’
৭. বাদাম ও বেরি দিয়ে কুইনোয়া ব্রেকফাস্ট বাটি
কুইনোয়া উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এটি ধীর, স্থির শক্তি প্রদান করে এবং দুপুর পর্যন্ত আপনাকে সক্রিয় রাখে। কলিংউড বলেন, ‘কুইনোয়া শুধু সকালের খাবার নয়, এটি সারা দিনের শক্তি ধরে রাখার জন্যও উপযুক্ত।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন