সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

শিশুশ্রম নিরসনে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

রাজধানীর এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

‘শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর এক অভিজাত রেস্টুরেন্টে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), এডুকো বাংলাদেশ এবং শাপলা নীড় বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছা শারমিন আক্তার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ, এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম, এডুকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ, শাপলা নীড় বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউমি ইয়াগিশিতা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রটেকশন বিভাগের ফাতেমা খায়রুন্নাহার, বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরোমের পরিচালক খন্দকার রিয়াজ হোসেন, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, এসওএস চিলড্রেন ভিলেজের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ড. মো. এনামুল হক, ডেইলি টাইমস অব বাংলাদেশের ঊর্ধতন বার্তা সম্পাদক মো. ফেরদৌস মোবারক, এনটিভি অনলাইনের বার্তা সম্পাদক জসিম মজুমদার, আরটিভির এসাইনমেন্ট এডিটর মাইদুর রহমান রুবেল, দৈনিক কালের কণ্ঠের ফিচার সম্পাদক দাউদ হোসাইন রনি, খবরের কাগজের হেড অব ডিজিটাল গোলাম রাব্বানী, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের ফিচার সম্পাদক ওমর ফারুক, দৈনিক সমকালের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মানিক, ঢাকা এফ এম এবং রেডিও আম্বারের বিক্রয় ও বিপণন ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান রিপন।

বৈঠকে মূল বিষয়বস্তুর ওপর উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুজজামান ভূঁইয়া।

শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিম। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এডুকো বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ এবং শাপলা নীড় বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউমি ইয়াগিশিতা মাসুদা।

এরপর ’’শিশুশ্রম নিরসনে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা: বর্তমান বাস্তবতা ও আমাদের প্রত্যাশা’’ বিষয়বস্তুর ওপর উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুজজামান ভূঁইয়া।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, এএসডি এর ইউকেএম ফারহানা সুলতানা এবং এডুকো বাংলাদেশ এর আফজাল কবির খান।

গোল টেবিল আলোচনায় গোলাম রাব্বানী বলেন, যে শিশু, শ্রমিক হিসেবে কাজ করে অনেক মা-বাবাকে সচেতন করতে হবে। নিউ মিডিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। তা ছাড়া এ ক্ষেত্রে বাজেট বাড়াতে হবে। মাইদুর রহমান রুবেল বলেন, অনেকেই শিশু অধিকার লংঘন করছেন; জেনে বুঝে বা না বুঝে। শিশুশ্রম নিয়ে সরকার, গণমাধ্যম, উন্নয়নকর্মী সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমের অনেক চ্যালেঞ্জ বা বাধা আছে। পারিবারিক বিপযয় রোধ, খাবারের সংস্থান, সঠিক কারিগরি শিক্ষায় শিশুদের শিক্ষিত করতে হবে।

জসিম মজুমদার বলেন, টিভি মিডিয়ার কর্মীরা খুব বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যারা টিভি মিডিয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে, তাদেরকে সচেতন করতে হবে। এমনভাবে প্রকল্প পরিকল্পনা করতে হবে যেন কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছায়।

মো. ফেরদৌস মোবারক বলেন, দেশকে বড় করতে হলে শিশুকে সঠিকভাবে বড় করতে হবে। শিশুশ্রম বিষয়ক খবর গুরুত্ব সহকারে প্রথমদিকে প্রকাশ করতে হবে।

দাউদ হোসাইন রনি বলেন, অনেক পত্রিকায় করোনার পর থেকে শিশু বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। এই গোলটেবিল বৈঠকের চেয়েও জরুরি, যারা শিশুশ্রমিক নিয়ে গ্রামে বা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করে তাদের কে সচেতন করতে হবে।

ওমর ফারুক বলেন, শিশু শ্রমিকের মা-বাবা কিন্তু এই গোলটেবিল বৈঠক দেখছেন না, তাই তাদেরকে যেন সচেতন করা যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

মাহফুজুর রহমান মানিক বলেন, শিশুরা যখন স্কুলে থাকার কথা, তখন তারা কাজে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৯৫ ভাগ শিশূ স্কুলে আসে। স্কুলে ড্রপ আউটের সংখ্যা ১৬ শতাংশ, যারা শিশু শ্রমে নিয়োজিত হচ্ছে। শুধুমাত্র দিবস কেন্দ্রিক আয়োজন নয়, সারাবছর কর্মসূচির আয়োজন করতে হবে। এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে হবে যে কি কারণে শিশুরা শ্রমে নিযুক্ত হচ্ছে।

মো. মিজানুর রহমান রিপন বলেন, গণমাধ্যমে শিশুদের নিয়ে বছরব্যাপী পরিকল্পনা করতে হবে। গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুদের মা বাবা জানে না বা তারা সচেতন না। তাই তাদেরকে সচেতন করতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোছ. শারমিন আক্তার বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে যেভাবে প্রচার হয়, শিশুশ্রম নিয়ে সেভাবে হয়নি। মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সাথে বসে শিশু বিষয়ক পাতা বা বিভাগ করা যায় কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, গণমাধ্যম সকল বিষয়ের উপর প্রতিবেদন করবে। তুলে ধরবে শিশুশ্রমের সকল তথ্য।

এ ছাড়াও আইএলও, ইউনিসেফসহ শিশু অধিকার ও শিশুশ্রম নিরসন বিষযে কর্মরত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও নেটওয়ার্ক/প্লাটফর্মসমুহের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!