মন্ত্রণালয় বা বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর এবং দপ্তরে নিয়োগ বা পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট কাজের সঙ্গে জড়িতদের সম্মানি বা পারিতোষিক হার বাড়িয়ে তা পুনঃনির্ধারণ করেছে সরকার। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি-২ শাখার যুগ্ম সচির ড. মো. ফেরদৌস আলম সই করা এক পরিপত্রে সম্মানির হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
পরিপত্রে বলা হয়, নিয়োগ বা পদোন্নতি সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য নির্ধারিত খাতভিত্তিক সম্মানি বা পারিতোষিক হার নির্দেশক্রমে পুনঃনির্ধারণ করা হলো। প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে আগে দেওয়া হতো পাঁচ হাজার টাকা। এটি এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিভাগীয় নির্বাচন/পদোন্নতি কমিটির সদস্যদের সম্মানি প্রতি সভার জন্য জনপ্রতি এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে। মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য/বিশেষজ্ঞদের সম্মানি প্রতিদিনের জন্য জনপ্রতিও এক হাজার টাকা বাড়িয়ে ছয় হাজার টাকা করা হয়েছে।
প্রতিটি পূর্ণ উত্তরপত্র পরীক্ষণের জন্য সম্মানি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। আর প্রতিটি অবজেকটিভ টাইপ উত্তরপত্র পরীক্ষণের জন্য সম্মানি ৩০টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫টাকা করা হয়েছে।
এ ছাড়া লিখিত/ব্যবহারিক/মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ/প্রশ্নপত্র প্রণয়ন/উত্তরপত্র মূল্যায়নের আপ্যায়ন ব্যয় জনপ্রতি ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
পাশাপাশি লিখিত/ব্যবহারিক/মৌখিক পরীক্ষা পরিচালনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত কর্মচারীর সম্মানি প্রতিদিনের জন্য বাড়িয়ে গ্রেড অনুসারে ১ হাজার ২০০, এক হাজার এবং ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মনোনীত সমন্বয়কারীর সম্মানি ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকের সম্মানি প্রতিদিনের জন্য বাড়িয়ে এক হাজার আটশ’ টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য একটি সম্মানি প্রাপ্য হবেন। একই কার্যদিবসে একাধিক সভার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা একটি সম্মানি পাবেন। একই কার্যদিবসে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হলে সর্বোচ্চ দুটি সম্মানি পাবেন। সরকারি স্কুল-কলেজ পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহারের জন্য কোনো অবস্থাতেই কেন্দ্র ফি বা অন্য কোনো প্রকার চার্জ প্রদান করা যাবে না।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে সম্মানির হার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল।