ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

নৌপথ পুনরুদ্ধারের দাবিতে ‘তিতাস থেকে বুড়িগঙ্গা’ নৌযাত্রা শুরু

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
প্রতীকী ছবি

সারাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ পুনরুদ্ধার, দখল-দূষণমুক্ত নদী ও নদীমাতৃক বাংলাদেশের ঐতিহ্য পুনর্জাগরণের দাবিতে নদীপথে প্রতীকী যাত্রা শুরু করছে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর আনন্দবাজার ঘাট থেকে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর উদ্দেশে এ নৌযাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যাত্রাবহর পৌঁছাবে ঢাকার ঐতিহাসিক বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট নতুন টার্মিনালে।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেল ৪টায় সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র নতুন টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় অনুষ্ঠিত হবে ‘নদী-সুরক্ষা বিষয়ক মতবিনিময় সভা’। সভায় অংশ নেবেন পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী, গবেষক, নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা।

মতবিনিময় সভার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে নদী ও খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ, নদীর সাথে খালের সংযোগ নিশ্চিতকরণ, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে নৌপথের গুরুত্ব এবং নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত বিষয় গুলো।

পরবর্তীতে ২৫ অক্টোবর শনিবার সকাল ৬টা থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন শেষে বুড়িগঙ্গা থেকে পুনরায় তিতাস নদী অভিমুখে ফেরার মধ্য দিয়ে ‘তিতাস থেকে বুড়িগঙ্গা’ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।

নদীর প্রাণ ফেরাতে রাষ্ট্র-সমাজের যৌথ পদক্ষেপের আহ্বানে তরী বাংলাদেশ মনে করে, বাংলাদেশের নদীগুলো আজ চরম অস্তিত্ব সংকটে। একসময় দেশের ২৪,০০০ কিলোমিটারের বেশি নদীপথ নৌচলাচলের উপযোগী ছিল, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬,০০০ কিলোমিটারের নিচে। দখল, দূষণ, ভরাট ও প্রবাহ সংকটে নদীগুলোর স্বাভাবিক জীবনধারা ভেঙে পড়েছে। নদী বাঁচাতে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, শিল্পবর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জরুরি জাতীয় ঘোষণা প্রয়োজন।

‘তরী বাংলাদেশ’ চায় নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও নৌপথ পুনরুদ্ধার হোক। নৌপথ সচল হলে সড়কপথের চাপ কমবে, পরিবেশ রক্ষা পাবে, অর্থনীতি লাভবান হবে। নৌপথ বাঁচুক, নদী বাঁচুক-নদীমাতৃক বাংলাদেশ টিকে থাকুক।