ঢাকা শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

কাঁচাবাজারে উত্তাপ, বিপাকে মধ্যবিত্তরা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ১১:২৪ এএম
শাক-সবজি। ছবি- সংগৃহীত

শাক-সবজি থেকে শুরু করে চাল, মাছসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দামই এখনও ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে এসে রীতিমতো হা-হুতাশ করছে সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালী ও কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,  প্রতি কেজি টমেটো ১০০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা ও মুলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কচুর মুখী ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে কেজি প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতি পিস ছোট সাইজের ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে দেশীয় সবজির সরবরাহও কিছুটা কম। সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। বাড়তি দামের কারণে সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে ক্রেতারা। এতে বেচাবিক্রি অনেক কমে গেছে। ফলে দাম বেশি পেলেও লাভ হচ্ছে কম।

ক্রেতারা বলছেন, নানা অজুহাতে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়ে গেছে। বাজারে এই অবস্থায় চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে।

চড়া দামে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগির বাজারও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির জন্য ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। এছাড়া লাল লেয়ার কেজি প্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
গরু ও খাসির মাংসের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৬০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মুরগীর সরবরাহ কম। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমতে পারে আগামী সপ্তাহে।

রামপুরা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকুরীজীবী আপেল মাহমুদ বলেন, বাজারে নিত্য পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি  তাতে যে বেতন পাই  তাতে তিন বেলা খাবার খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ছে। সপ্তাহে ১ দিন  মাছ বা মাংস  খাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে শরীরে অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে।   
 
এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩০০-৪৫০ টাকা ও কাতল ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ টাকা, চাষের ট্যাংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, এবং পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা ও শিং ৪০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালী কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আসলাম বলেন, ‘বাজারে সামুদ্রিক মাছ নেই। তাই দেশি ও চাষের মাছের ওপর চাপ বাড়ায় দাম বাড়ছে।’

মহাখালী কাঁচাবাজারে বেসরকারি চাকুরীজীবী আব্দুল  কাদের বলেন, একসঙ্গে সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় মাসের খরচ মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।