কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ১৩ নভেম্বরের লকডাউনেও দেশের সড়কে গণপরিবহন চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। তবে পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে সংগঠনটি ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল অন্যান্য দিনের মতো গণপরিবহন চলবে। তবে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে আমরা সব পরিবহন মালিক, বাস কোম্পানি ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছি। প্রতিটি বাসে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে গত ১০ নভেম্বর দিনগত রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলায় একটি বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক শ্রমিক নিহত এবং দুইজন আহত হন। নিহত ও আহত শ্রমিকদের প্রতি প্রতিবাদ জানাতে বুধবার সারা দেশের সব বাস টার্মিনালে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।
জোবায়ের মাসুদ বলেন, ‘আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা আজ রাতভর টার্মিনালে অবস্থান করবেন এবং আগামীকালও টার্মিনাল পাহারা দেবেন। কেউ যাতে সুযোগ নিয়ে কোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে না পারে, সেজন্য মালিক ও শ্রমিকরা একসঙ্গে সতর্ক অবস্থায় আছেন।’
এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্বৃত্তদের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও ককটেল বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থায়। বুধবার সারা দিন সাধারণ দিনের তুলনায় কম সংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই জানতে চাইছেন লকডাউনের দিন বৃহস্পতিবার সড়কে বাস চলবে কি না, কিংবা চললেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগারগাঁও থেকে বাড্ডা লিংক রোডগামী আলিফ পরিবহনের এক যাত্রী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে যেভাবে বাসে আগুন ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা সবাই আতঙ্কে আছি। আজ সড়কে যানবাহন আগের তুলনায় অনেক কম। কাল লকডাউনের দিন বাস চলবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। আবার বাসে আগুন লাগলে তা নেভাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে কি না, তাও জানি না।’



