বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম

জুলাই সনদ। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই সনদ। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তার দপ্তরের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই আদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো এখন গণভোটে তোলা হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় যেসব সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছিল, সেগুলোর ওপর জনগণের মতামত নেওয়া হবে সেই গণভোটে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব জমা দেয়। উভয় বিকল্পেই সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের আয়োজন ও একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে।

বিকল্প প্রস্তাব-১

(ক) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয়গুলো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি আদেশ জারি করবে।

(খ) জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে ওই আদেশ এবং তার তপশিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার প্রণীত একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া বিল গণভোটে উপস্থাপন করা হবে।

(গ) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যাহা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

(ঘ) বাস্তবায়ন আদেশ অনুসারে অনুষ্ঠিত গণভোটে যদি ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া যায় তাহলে সংবিধান সংস্কার বিলটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ তার দায়িত্ব পালনে সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করবে। তবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে যদি সংস্কার সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হবে।

বিকল্প প্রস্তাব-২

(ক) জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়গুলো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি আদেশ জারি করবে। আদেশের একটি খসড়া প্রস্তাবে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

(খ) জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং তার তপশিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো গণভোটে উপস্থাপন করা হবে।

(গ) বাস্তবায়ন আদেশ জারির পর জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে, যা সংবিধান সংস্কার বিষয়ে গাঠনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

(ঘ) পরিষদ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে ওই আদেশের তপশিল-১ এ বর্ণিত জুলাই জাতীয় সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন করবে এবং তা সম্পন্ন করার পর পরিষদের কার্যক্রম সমাপ্ত হবে।

বিকল্প প্রস্তাবের পক্ষে গণভোটে কী প্রশ্ন উপস্থাপন করা হবে তাও তুলে ধরে কমিশন।

তাদের তৈরি করা প্রশ্ন হচ্ছে- ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং উহার তপশিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’

Link copied!