অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ধনী দেশগুলো বারবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। জলবায়ু অর্থায়ন আমরা দয়া বা ঋণ হিসেবে চাই না, এটি আমাদের অধিকার। তাই এটি অনুদান আকারে প্রদান করতে হবে।’
ব্রাজিলের বেলেমে বাংলাদেশ সময় রোববার (১৬ নভেম্বর) জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০–এর ব্লু জোনে অবস্থিত বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘যারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী এবং যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মধ্যে যেন এক অসম যুদ্ধ চলছে। বাংলাদেশ বা অন্যান্য দুর্বল রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসে তা আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যায়।’
তিনি জেন্ডার-সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়েও আলোকপাত করে বলেন, জলবায়ু নীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো জরুরি। তিনি ভবিষ্যতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা উল্লেখ করে বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে তরুণদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতের জলবায়ু নেতৃত্ব তাদের হাতেই গড়ে উঠবে, তাই তাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, নদীর স্বভাব বদল, আবাসস্থল নষ্ট হওয়া এবং জলবায়ুজনিত চাপ দেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে সংকটে ফেলছে। এতে মৎস্যজীবীরা পেশা হারানোর ঝুঁকিতে পড়ছেন। তিনি এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তাও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম সোহেল, পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী, সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এম. হাফিজুল ইসলাম খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন