আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি জানান, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। এর পরই কঠোরভাবে শুরু হবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।
তপশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের পর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারবেন। এই সময় থেকে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যেতে পারবেন।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তপশিল ঘোষণার পর যদি কোনো রাজনৈতিক দল আইন অমান্য করে, তাহলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন এবং একইসঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫-এর ওপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার ও ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। প্রাথমিক বিশ্লেষণে মোট কেন্দ্রের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭ লাখের বেশি সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন ভোটার চূড়ান্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং ১,২৩৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারা এই চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এবারই প্রথম, এক বছরে তিনবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলো। এই ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার সারা দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২,৭৬১টি নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইসির তথ্যানুযায়ী, ৬৪ জেলার ৩০০ সংসদীয় আসনে মোট ৪২,৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। পুরুষদের জন্য ১,১৫,১৩৭টি কক্ষ এবং নারীদের জন্য ১,২৯,৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২,৪৪,৬৪৯টি। এ ছাড়া, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৪টি, যেখানে প্রায় ১২,০০০টি ভোটকক্ষ থাকবে।
প্রতি ভোটকক্ষে গড়ে প্রায় ৩,০০০ ভোটার থাকবে। এই কেন্দ্রগুলোকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে ধরা হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে ভোটকক্ষের সংখ্যা সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন