নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সচিব।
আদালতের রায়ে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘এক অর্থে প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় আছি।’
তিনি বলেন, ‘তপশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিপত্র জারি হবে। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে, কেউ যাতে অভিযোগ করতে না পারেন।’
তবে তিনি এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন, কেউ আইন না মানলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সিনিয়র সচিব।
প্রশাসনে রদবদল প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ও পরামর্শ নিয়েই তা করতে হবে।’
সচিব জানান, এখন পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালট অ্যাপে ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৭ জন প্রবাসী ভোট দিতে নিবন্ধন করেছেন। যারা আইনি হেফাজতে আছেন তাদের নিবন্ধন ২১ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হবে। আর নির্বাচনের রিটার্নিং ও পোলিং অফিসারদের নিবন্ধন ১৬ বা ১৭ তারিখ থেকে শুরু করা যাবে। এ ছাড়া নির্বাচনের নিরাপত্তায় যারা থাকবেন, তাদের নিবন্ধনে আরেকটু সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন