গত ১৯ বছরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ভয়াবহ অবনতি হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, জিপিএ ৫-এর পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে আমাদের শিক্ষার ১২টা বেজে গেছে। তবে ইতোমধ্যে সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক ও নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য গৃহীত স্কিম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সার্বিকভাবে আমাদের সম্পদের ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ মানুষ। তাই শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা থাকলে অন্য সব কিছু সহজ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলা একটি দেশের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। বৈচিত্র্যময় সমাজ ব্যবস্থাকে শক্তিতে পরিণত করা সম্ভব যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়। শান্তি না থাকলে কোনো বিনিয়োগ আসবে না। আর শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তৌহিদ হোসেন জানান, বর্তমান সরকার পার্বত্য তিন জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা চায়। যদি এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়, তবে এখানে ব্যাপক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
তিনি বলেন, স্বল্প সময়ে সব কিছু করা সম্ভব নয়, তবে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুত শান্তির আবহ ফিরিয়ে এনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে চাই।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বান্দরবান জেলায় ৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ১২ হাজার অতীব দরিদ্র। খাগড়াছড়িতে ৬ লাখ মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার এবং রাঙামাটিতে সাড়ে ৫ লাখ মানুষের মধ্যে ৯০ হাজার মানুষ অতীব দরিদ্র। সবদিক থেকে বান্দরবান এখনও পিছিয়ে আছে। পার্বত্য এলাকার বাজেট কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বরাদ্দের অর্থ ফেরত চলে যাওয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওসারসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।