চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে (জানুয়ারি-অক্টোবর) সাড়ে ২৮ লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। একই সময়ে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্দরে ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ৫৪২ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১১ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এছাড়া তিন হাজার ৫৫২টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর কনটেইনার বেড়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৩২৮ টিইইউএস, কার্গো বেড়েছে এক কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ১৭৪ মেট্রিক টন এবং জাহাজ বেড়েছে ৩৫১টি।
এতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৪.৮৭ শতাংশ, কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ১২.৬৪ শতাংশ এবং জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ১০.৯৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বন্দরে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৮০৫ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। একই সময়ে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে চার কোটি ৫২ লাখ ৮২ হাজার ৯০৭ মেট্রিক টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে এক হাজার ৪২২টি।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৯ দিন, অক্টোবরে ১৮ দিন এবং নভেম্বরে ১৯ দিন জাহাজের ওয়েটিং টাইম শূন্য ছিল।
বর্তমানে জাহাজ আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বার্থ পাচ্ছে। এর ফলে আমদানি–রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই পণ্যের দ্রুত হ্যান্ডলিং ও ডেলিভারি সম্ভব হচ্ছে। পোর্ট লিড টাইমও কমে এসেছে।
বন্দর সচিব জানান, আধুনিক কনটেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিং সরঞ্জাম সংযোজন, ইয়ার্ড ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরলস পরিশ্রম এবং বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতার কারণেই বন্দরের সার্বিক হ্যান্ডলিং কার্যক্রমে এ ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন