চলতি মাসেই দেশের কিছু জায়গায় সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, নারী কৃষক এবং স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্গাপূজায় সৌজন্যবোধ ও অনুরোধের কারণে এ বছর ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। এ ছাড়াও প্রবাসী বাঙালিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১১ হাজার টন ইলিশ পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ কমে গেছে। তবে এ মাসেই দেশের কিছু জায়গায় সাশ্রয়ীমূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
ফরিদা আখতার আরও বলেন, ‘গবাদিপশুকে এলএসডি মুক্ত করতে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জসহ চারটি জেলাকে সম্পূর্ণরুপে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।’
এ সময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কুদরত-এ-খুদা, সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।