ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বজনদের কাছে ছুটতে শুরু করেছেন ঢাকাবাসী। আসছে বুধবার ও বৃহস্পতিবার বাড়ি যাওয়ার ঢল নামবে। এরপরই অনেকটা ফাঁকা হয়ে যাবে রাজধানী। সেই সুযোগে এবারের ঈদে টানা ৯-১০ দিনের ছুটিকালীন মহানগরীতে বড় ধরনের অরাজকতা কিংবা নাশকতার ছক আঁকছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিতারিত ও পতিত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এ ক্ষেত্রে তাদের টার্গেট হতে পারে কেপিআইভুক্ত সরকারি স্থাপনা। তারা ফাঁকা ঢাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও ভাড়াটে লোকদের জড়ো করে রাজপথ দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতারা ভারতে ও দেশে গোপন স্থানে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিচার্জ অ্যান্ড ইনফমেশন (সিআরআই) ঢাকায় টাকা বিলি করছেন, সিআরআই’র বিলি করা একটি চেক এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেনাবাহিনী, আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা ও বিএনপি-জামায়াতকে শক্তির জানান দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে থাকা হাজার হাজার বৈধ-অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রস্তুত করে রাখছেন। এ ছাড়া তাদের আরেকটি অপকৌশল হচ্ছে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ভীতি ও উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ক্ষমতাচ্যুত দলটির একাধিক নেতা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ততধিক সূত্র এমনটাই দাবি করেছে।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও সেখান থেকে টেলিফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে আওয়ামী নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন, ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে নানা হুমকির অডিও রেকর্ড প্রতিনিয়ত ভাইরাল হচ্ছে।
সূত্রমতে, গত রোববার কলকাতার রাজারহাট নিউটাউন প্লাজায় ইফতারি পার্টির আয়োজন করে ফেনীর সাবেক এমপি পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। সেখানে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী রেজিমের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ শতাধিক নেতা হাজির হন। এদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আসাদুজ্জামান খান কামাল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, বাহাউদ্দিন নাছিম ও গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ইফতার শেষে তারা গোপন বৈঠক করেন।
সূত্রমতে, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা গত কিছুদিন ধরেই দফায় দফায় বৈঠক করছেন। ওইসব বৈঠকে ঢাকা থেকেও কেউ কেউ ভার্চুয়ালি যোগ দেন। তাদের মূল টার্গেট বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং বিতর্কিত করার পাশাপাশি ঢাকার রাজপথ দখলে নেওয়া। এক্ষেত্রে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় সুযোগ নিয়ে নাশকতা করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এটি সফল করতে দেশে পলাতক থাকা কিছু নেতাকেও দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাদের মূল দায়িত্ব নেতাকর্মী ছাড়াও ভাড়া করে হাজার হাজার লোক জড়ো করা ও আগ্নেয়াস্ত্রের মজুত বাড়ানো। এ লক্ষ্যে কোটি কোটি টাকা ছড়ানো হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের টার্গেট হতে পারে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীতে পতিত ও বিতাড়িত আওয়ামী লীগ যাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি না করতে পারে, সে লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করা ছাড়াও মহানগরীর বড় বড় মোড়গুলোতে যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও ছাত্র-জনতাও প্রস্তুত থাকবে। সীমান্ত ও বিমানবন্দরগুলোতেও সতর্ক থাকবে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা। সূত্রমতে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট, সাবেক এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর ও নিক্সন চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন ক্যাডার নেতার কর্মকাণ্ডের ওপর কড়া নজরদারি রাখছেন বেশির ভাগ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঈদের ছুটিতে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। তবে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঈদ আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি থাকছে নিরাপত্তা বাহিনীর সবকটি ইউনিটের বাড়তি তৎপরতা। এ সময়ে যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে বিপুলসংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকবে পর্যাপ্ত সাদা পোশাকের পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় থাকবে র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট। আর প্রতিটি এলাকাতেই থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি টহল টিম।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঈদের ছুটিতে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। তবে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঈদ আয়োজনকে নির্বিঘ্ন করতে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি থাকছে নিরাপত্তা বাহিনীর সবকটি ইউনিটের বাড়তি তৎপরতা। নগরবাসীর নিরাপত্তায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। সাইবার মনিটরিংসহ অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে অপরাধীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে ডিবি।
ঈদে দীর্ঘ ছুটিকে কাজে লাগিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর ও পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ড. ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণে অনলাইন-অফলাইনে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে ভারতীয় গদি মিডিয়ার সহায়তায় অনবরত প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে-বিদেশে পলাতক আ.লীগ নেতাকর্মী বা অ্যাক্টিভিস্টরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় নতুন নতুন থিউরি বের করে নতুন নতুন গুজব, মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। সরকার ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এসব গুজব, মিথ্যা তথ্য, মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ দিতে দিতে নাজেহাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া বিজেপি সরকারের প্রেসক্রিপশনে আওয়ামী প্রীতি দেখিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করছে। আর তাতে সহায়তা করছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, দেশে থেকে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদের একটা তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। বিদেশে অবস্থানরত গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের তালিকাও প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাদের নাম-ঠিকানা ও আওয়ামী লীগের পদ-পদবি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবকটি ইউনিট ঈদে সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে সর্বদা তৎপর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবুও বাড়তি সতর্কতার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় পৌনে ২ কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এ সময় ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) ইনামুল হক সাগর রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করাসহ ফাঁকা ঢাকায় মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাড়তি তৎপরতা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে সারা দেশে কোনো ধরনের নাশকতার সুযোগ নেই। তবুও পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে। দেশ ও দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী সচেষ্ট রয়েছে।
জানা গেছে, গত সাত মাসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশে-বিদেশে পলাতক থেকেও অব্যাহতভাবে প্রপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে শুরুটা হয় ধর্ষণ দিয়ে। ধর্ষণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে টানা চালিয়েছে সাইবার ওয়ার্ম। এরপরে সফলতার সাথে তারা পুলিশকে পিটিয়ে উলটা মিডিয়া ট্রায়াল দিয়ে পুলিশকেই দোষী বানিয়েছেন।
দেখা গেছে, ধর্ষণবিরোধী এসব মিছিলে ১০ থেকে ২০ জনের বেশি লোক না থাকলেও তারা মিডিয়া ট্রায়াল দিয়ে ব্যাপক হাইপ ক্রিয়েট করতে সক্ষম হয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর মিডিয়াগুলো এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশ-বিদেশ ছড়িয়ে দেয় ধর্ষণ আতঙ্ক। নারীরা ভাবতে শুরু করে তারা নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে, সেই সাথে সংকটে পড়ে সরকারও। তবে এই নারীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশাল এক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে বোঝানো হয়েছে এই সরকারের কাছে নারী ও শিশুরা নিরাপদ নয়।
যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ নারী-শিশুদের বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। এই ইস্যুটা চলমান থাকাকালে সারা দেশের মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেয় হাসনাতের স্ট্যাটাস। এই ইস্যুটা চলমান থাকা অবস্থায় হাসনাত আব্দুল্লাহ’র স্ট্যাটাস কেন্দ্র করে মানুষের ফোকাস ধর্ষণ থেকে সরে আসে। এবং সবার মুভমেন্ট হাসনাতকেন্দ্রিক হয়ে যায়। তারপরেই হঠাৎ দেখা গেল ধর্ষণ শব্দটা নাই হয়ে গেল। বলে রাখা ভালো ‘ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল নোয়াখালীতে। এ ঘটনা ভেতরে ভেতরে সবাই জানলেও কেউ একটা টুঁ শব্দ করার সাহসও পায়নি। সোজা কথায় বলতে গেলে এইটাকে ইস্যু করার প্রয়োজন মনে করেনি কেউ।
ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে নাশকতার শঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ডিএমপি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ২৪ ঘণ্টা সজাগ রয়েছি আমরা, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে অতিরিক্ত চেকপোস্ট ছাড়াও পুলিশের কার পেট্রল টিম ও মোটরসাইকেল পেট্রল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। এলাকাভিত্তিক বিট পুলিশিংয়ে দায়িত্বরতরাও নিজ নিজ এলাকার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখছেন।
র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক শেখ মুত্তাজুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, র্যাবের সবকটি ব্যাটালিয়ন টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। ঈদের ছুটিতে সারা দেশে র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র্যাবের কন্ট্রোল রুম, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, ফুট ও মোবাইল পেট্রল, ভেহিক্যাল স্ক্যানার, অবজার্ভেশন পোস্ট, চেক পোস্ট এবং সিসিটিভি মনিটরিং। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্যুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। যেকোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।

 
                             
                                    -20250312184631.webp)


 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন