চার মাসের চিকিৎসা ও বিশ্রাম শেষে ৫ মে দেশে ফিরছেন বেগম খালেদা জিয়া। সঙ্গে নিয়ে আসবেন দুই পুত্রবধূকে। কিন্তু ছেলে তারেক রহমান আসবেন কবে? তা নিয়েই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে!
ছাত্র জনতার গণবিপ্লবের মুখে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে পুরোপুরি সক্রিয় তারেক রহমান। সমাবেশসহ বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হচ্ছেন নিয়মিত। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রসংষ্কারসহ দলের পরিকল্পনা নিয়েও জানাচ্ছেন অবস্থান। যার সবকিছু লন্ডনে বসেই নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।
কিন্তু সব মামলা থেকে খালাস পেয়েও তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো দলের নেতাকর্মীদের মনে। খবর রটেছিলো, ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া। আবার কেউ বলেছেন, বিএনপি ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে দেশে ফিরে রাজনীতির হাল ধরবেন তারেক রহমান।

এতোসব গুঞ্জনের মাঝে হঠাৎ লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, ত্রয়োদশ নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পরেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান। এজন্য ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য একটি বাড়িও সংষ্কার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন সেটা তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা রূপালী বাংলাদেশকে বলেছেন, ‘দেশের পরিস্থিতি পুরোপুরি অনুকূলে না আসা পর্যন্ত দেশে ফিরবেন না তারেক রহমান। এছাড়া তিনি লন্ডনে বসেই ভালোভাবে দল পরিচালনা করছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই ফিরে আসবেন তিনি। আমরাও সেই অপেক্ষায় আছি।’

ওয়ান-ইলেভেনের সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান। তখন থেকেই তিনি লন্ডনে রয়েছেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, নাশকতা, গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী অসংখ্য মামলা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা দায়ের হয়। তবে সব মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন তিনি।
বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, তারেক রহমান যে কোনো দিন দেশে ফিরে সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন। এখন দেখার বিষয় হলো, তারেক রহমান দেশে ফেরার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়।
আপনার মতামত লিখুন :