স্বল্প মেয়াদে নেওয়া বিদেশি ঋণের স্থিতি জুন শেষে প্রায় ১ দশমিক ৩৪ বিলয়ন ডলার কমেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুন শেষে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালের জুনের একই মাসে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে কমেছে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চলতি বছরের মে শেষে এমন বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ১০ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।
স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ বলতে বোঝায় বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া এমন অর্থায়ন, যা পরিশোধের মেয়াদ এক বছরের কম। এটি সাধারণত আমদানি পণ্যের অর্থ পরিশোধ, সেবা ক্রয় বা অন্যান্য স্বল্পমেয়াদি আর্থিক চাহিদা পূরণের মতো ব্যাবসায়িক কার্যক্রমের জন্য নিয়ে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুনে বেসরিকারি খাতের উদ্যোক্তারা স্বল্প মেয়াদি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় সুদ-আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, জুন মাসে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ যা এসেছে, তার চেয়ে সুদ-আসল পরিশোধ হয়েছে বেশি।
আগের মে মাসে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এ সময় সুদ-আসল পরিশোধ করা হয়েছে ১ দশমিক ৯৮বিলিয়ন ডলার। এ মাসেও যা এসেছে, তার থেকে বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে চার বছর পর স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। ওই মাস শেষে তা দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোভিড মহামারির মধ্যে তা ৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে স্থিতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন