আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় ব্লকেড করেছেন ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।অবরোধ কর্মসূচিতে ছাত্র জনতার পাশাপাশি জুলাই আগস্টে নিহতদের পরিবার ও আহতরা অংশ নিয়েছেন।
এসময় তারা ‘বাহ ইন্টেরিয়াম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’; ‘লীগ ধরো, জেলে ভরো’; ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’; ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’; ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’; ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে সমাবেশ থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধের ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করব।’
হাসনাত বলেন, ‘১০০টা ফেরাউন একসঙ্গে করলেও একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে কোন কারণে রাজনৈতিক দল বলা হয়? আমরা শুনতে পাচ্ছি প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তিনি নাকি আওমী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এদিন, দুপুর আড়াইটার পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি, ছাত্র শিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। এই সমাবেশ থেকেই বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর সেটি রূপ নেয় সমাবেশে। আর এই সমাবেশ থেকেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা আসে।