অবশেষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা এলো। ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পর সাময়িক নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) রাতে এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ বলে নিশ্চিত করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাত ৮টায় শুরু হওয়া বৈঠকটি রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত চলে।
বৈঠকের বিষয়ে আইন উপদেষ্টার ব্রিফিংয়ের পাশাপাশি উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।’
‘উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
‘এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে। এর পাশাপাশি, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।’
এর আগে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলটির দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করাসহ জুলাই ঘোষণাপত্র জারির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
আপনার মতামত লিখুন :