কুমিল্লার কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ে বিএনপির দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শনিবার (১৭ মে) রাতে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত এবং বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কার্যালয়টির ভেতরে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর করা হয়।
মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের দ্বন্দ্বের সূত্রে বিএনপি কার্যালয়ে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলীয় কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে না, কারা করেছে সেটি খুঁজে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার দক্ষিণ জেলা এবং মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরদিন শুক্রবারও পদপ্রাপ্তদের আনন্দ মিছিল এবং বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। স্লোগানে বলতে শোনা গেছে, ‘অবৈধ কমিটি মানি না মানব না’।
বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে কয়েকজন যুবক বন্ধ থাকা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর কার্যালয়ের গেট খুলে ভেতরে থাকা কয়েকটি আসবাবপত্র ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে আবার তাদের মাঝখান থেকেই কয়েকজন আগুন নিভিয়ে সেই স্থান ত্যাগ করে। পরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘কমিটি ঘোষণার পর থেকেই মহানগর এবং দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা গত তিন দিন যাবত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে আসছিল। এরই মাঝে পদপ্রাপ্ত এবং পদ বঞ্চিতদের মাঝে বিরোধের রূপ নেয়। তবে বিএনপির কার্যালয়ে কারা অগ্নিসংযোগ করেছে সেটা আমার জানা নেই।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপি অফিসে আগুন দেওয়া কেউ দলীয় লোক হতে পারে না। পার্টি অফিসটি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আজকের ঘটনার সময় পার্টি অফিসটি বন্ধ ছিল। আমি শুনেছি কয়েকজন যুবক পার্টি অফিসের দরজা খুলে, ভেতরে থাকা কাগজপত্র ও কাপড়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তারাই আবার সেটা নিভিয়ে চলে যায়। তবে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিসংযোগের বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :