জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব কাজী মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সক্রিয় দায়িত্ব পালনের ফলে দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাহীনতা কমে আসছে এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসছে।’
শুক্রবার (১৩ জুন) দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ মাস ধরে চলমান অস্থিরতা, অরাজকতা, জানমালের নিরাপত্তাহীনতা এবং দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সশস্ত্র বাহিনী এখন সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফিরে আসছে।’
কাজী মামুন বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জনগণের মধ্যে এক নতুন আশার সঞ্চার হয়েছিল। মানুষ ভেবেছিল-স্বচ্ছ গণতন্ত্র ফিরে আসবে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে, নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা বাস্তবায়ন হয়নি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিগত মাসগুলোতে দুর্নীতি, মামলা বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং মব জাস্টিসে দেশজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি হয়েছিল। এতে সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে ছিল।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীই জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে এগিয়ে এসেছে। সেনাবাহিনীর সক্রিয় দায়িত্ব পালনের ফলে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিয়েছে, চাঁদাবাজি ও মব জাস্টিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং লুটপাটের ঘটনা অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীর অ্যাকশনকে দেশজুড়ে জনগণ স্বাগত জানাচ্ছে। এই দৃঢ় ভূমিকাই প্রমাণ করে, সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে আছে।’
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে কাজী মামুন বলেন, ‘তিনি ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সাহসিকতার সঙ্গে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশ রক্ষায় এগিয়ে এসেছেন। আমরা তার এই ভূমিকাকে স্বাগত জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রমে জনগণ মুগ্ধ এবং তাদের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর পদক্ষেপের প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের সুন্দর ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
আপনার মতামত লিখুন :