বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

‘সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে আগের নিয়োগ পদ্ধতি ফ্যাসিবাদের প্রতিফলন’

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের নিয়োগ পদ্ধতি বজায় রাখাকে ফ্যাসিবাদী নীতি বলে আখ্যায়িত করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

মঞ্জু বলেন, ‘হাজারো প্রাণ আর রক্তের স্রোতের মাধ্যমে যে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, তার মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান। কিন্তু শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা চর্চার সংস্কৃতি যদি বহাল থাকে, তাহলে কোনো ধরনের সংস্কারই বাস্তবায়িত হবে না।’

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূর্বের মতো একক ক্ষমতায় নিয়োগের প্রথা আসলে ফ্যাসিবাদকেই টিকিয়ে রাখে। আমরা সংস্কারের নামে এই ছদ্মবেশী স্বৈরতন্ত্রকে মানতে পারি না। অতীতে শেখ হাসিনা নিজের দলের অনুগতদের নিয়োগ দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি-সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়াকে কঠিনতর করতে হবে এবং সাংবাদিক প্রতিষ্ঠানসহ সব সাংবিধানিক সংস্থাকে নিরপেক্ষ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।’

রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিমালার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা-সম্প্রীতির অভিপ্রায়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিলেও শুধু ভাষাগত পার্থক্যের কারণে একমতে পৌঁছানো যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘আমরা কোনো বিষয়েই একমত হবো না’-এটাই যেন আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার মূলনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, ‘নিয়োগ কমিটি গঠনের ফলে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা কমবে- এমন ধারণা সঠিক নয়। বরং এটি স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে এবং নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব দলের উচিত নিজ নিজ রাজনৈতিক দর্শনের গণ্ডি ছাড়িয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করা। তা না হলে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে না।’

Link copied!