কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নারী নির্যাতনকারীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিএনপির কর্মী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
অন্যদিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দেন। এই উপদেষ্টার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর হওয়ায় তার পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সামালোচনা।
পোস্টে তিনি লেখেন, ‘মুরাদনগরে যেসব আওয়ামী সন্ত্রাসী আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে পুনর্বাসিত হয়েছেন এবং ক্ষমতার পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো অপরাধে লিপ্ত হয়েছেন- তাদের দায় এখন এলাকাবাসীকেই বইতে হচ্ছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এর আগেও চাঁদাবাজিকে হাতেনাতে ধরার পর তাকে ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা চালানো হয়েছিল। আজ আমি লজ্জিত-আমার কিছু বলার ভাষা নেই। এলাকার লোকজন বলছে, গণঅভ্যুত্থানে দেশ মুক্ত হলেও মুরাদনগর এখনো বড় বড় মাফিয়াদের কবলে।’
এদিকে বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মুরাদনগরের একজন উপদেষ্টা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন। তার প্রশ্রয়ে দুস্কৃতিকারীরা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। দেশ-বিদেশ থেকে তারা অবিরাম মদদ পাচ্ছে। একজন উপদেষ্টা যদি জনসেবার চেয়ে আত্মসেবায় বেশি মনোযোগ দেন, তাহলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হবেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই ওই ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকাজুড়ে আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এই আচরণ অনেকটা আওয়ামী লীগপন্থী এমপিদের মতো, যারা ক্ষমতার মোহে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।’
বিবৃতির শেষাংশে মির্জা ফখরুল সরকারকে দায়ী করে বলেন, ‘বর্তমানে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার যে নোংরা চক্রান্ত চলছে, এটি মূলত আওয়ামী লীগের পুরোনো কৌশলেরই পুনরাবৃত্তি।’
আপনার মতামত লিখুন :