শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি: এটিএম আজহার

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় বক্তব্য দেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় বক্তব্য দেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আজকে আমি ফাঁসির মঞ্চ থেকে লাখো জনতার মঞ্চে হাজির হয়েছি। সবই আল্লাহর মেহেরবানি, রহমত। যে গলায় আমার রশি পরানোর কথা ছিল, সেই গলায় ফুলের মালা পরানো হলো। আল্লাহ আমাকে মুক্ত করেছেন।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জামায়াতে ইসলামীর বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমি আজ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছি। কিছুদিন আগেও আমি কারাগারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আল্লাহ যে আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে আসবে, এটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানত না। ফাঁসির মঞ্চ থেকে আল্লাহ আমাকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন।’

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডিত হয়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় ছিলেন জামায়াতের এই নেতা। তবে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে গলায় ফাঁসির রশি পরার কথা ছিল সেই গলায় এখন জনতার ভালোবাসার ফুলের মালা। এ জন্য আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছি।’ তিনি আমৃত্যু রংপুরের মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সব খুনির বিচার, প্রয়োজনীয় সব সংস্কারের পর নির্বাচনসহ ৪ দফা দাবিতে জনসভার আয়োজন করে জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর ও জেলা শাখা।

55802

জনসভায় জামায়াতের এই কারা নির্যাতিত নেতা বলেন, ‘রংপুরের জনগণ বলতে পারবে না যে, আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। কিন্তু আমাকে অপরাধী বানানো হলো। রংপুরের জনগণ সাক্ষী, যারা সাক্ষ্য দিয়েছে তারাও কিন্তু পরবর্তীকালে বলেছেন, আমাদের জোর-জুলুম করে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমার কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই, দুঃখ নেই।’

আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘যার বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেওয়ার মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল—যার পরিসমাপ্তি হয়েছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—৫ আগস্ট না হলে আপনারা আমার জানাজা পড়তেন—আমার মুক্তির জন্য আবু সাঈদ আমার পক্ষে কাজ করেছে; কেননা আমার মুক্তির প্রথম সোপান হচ্ছে আবু সাঈদ—তার মৃত্যুই আমাকে মুক্তির পথ দেখিয়ে দিয়েছে। আমি তার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!