কাগুজে সংস্কার দিয়ে দেশের কিছু হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের চমৎকার কথা আর মিষ্টি কথার জাদু পুরো জাতিকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে; কিন্তু ১ বছরে তাদের কথার ফুলঝুরি ছাড়া অর্জন কী? ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পছন্দের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ১ বছরে স্বাস্থ্য খাতের কোনো পরিবর্তন করতে পেরেছেন?’
তিনি বলেন, ‘গতকাল এত বড় ট্র্যাজেডির পরও তার কোনো খোঁজ নেই! ড. ইউনূসের পছন্দের শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষা খাতের কোনো পরিবর্তন করতে পেরেছেন? তিনি রাত ৩টায় পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন!’
রাশেদ বলেন, ‘শুধু কাগুজে সংস্কার দিয়ে দেশের কিচ্ছু হবে না। ১ বছরে যারা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাতে কোনো সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারেনি, তাদের ১০০ তে ১০ মার্ক দেওয়াও হবে বেশি।’
সচিবালয়, পুলিশ-প্রশাসনে ঘুস দুর্নীতি বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সচিব, ডিসি, এসপিসহ পদোন্নতিতে লেগেছে কোটি কোটি টাকা। এখানেও আওয়ামী সুবিধাবাদী কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিষ্টি কথা বলা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ এসব অভিযোগের কোনো তদন্ত করেন নাই। দুদককে হাসিনার আমলের মতোই ব্যবহার করছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।’
বর্তমান সরকারের আমলে বেশি দুর্নীতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাসিনার আমলে ১ বছরে যত দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্য হয়েছে, তার থেকে বেশি পরিমাণ দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্য হয়েছে ড. ইউনূসের আমলে। দরপত্র পেতে ব্যবসায়ীদের কত পার্সেন্ট করে দিতে হয়েছে, এটির একটা স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার।’
তার মতে, ‘মন্ত্রণালয়কে ১০% দিয়ে নাকি কাজ নিতে হয়। এর ভাগ কারা কারা পায়? এই অযোগ্য উপদেষ্টা পরিষদ ১ বছরে নিজেদের পরিবর্তন ছাড়া দেশের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। এই পরিবর্তন দৃশ্যমান যাতে না হয়, এ জন্য মাসে একবার আর্থিক হিসাব দিতে চেয়েও ১ বছরে একবারও দেয়নি।’
