শাহবাগ ব্লক করার জন্য লোক ভাড়া করে আনা হয়েছে। কি দাবিতে এসেছে বলতে পারছেনা তারা। রাতে তাদের বিরিয়ানিও দেওয়া হয়েছে! রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আরেকটি শাহবাগ কারা বানাতে চায়? কি উদ্দেশ্য তাদের? এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণ আধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রশ্ন করেন তিনি।
পোস্টে রাশেদ খাঁন লিখেন, একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে, প্রধান উপদেষ্টার পিএস সাব্বির ভাই শাহবাগ ব্লক করার জন্য জুলাই যোদ্ধাদের পরামর্শ দিয়েছেন। এই বক্তব্যের বিষয়ে সরকারের স্টেটমেন্ট জানতে চাই। একটা দেশের রাজধানীর মূল পয়েন্ট শাহবাগ কয়েকজন মিলে অবরোধ করে রাখবে। আর সরকার ও পুলিশ চুপচাপ থাকবে। এভাবে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা চায় তারা?
তিনি লিখেন, আজকে ভিডিওতে দেখলাম, এখানে লোকভাড়া করে আনা হয়েছে। কি দাবিতে এসেছে বলতে পারছেনা। রাতে তাদের বিরিয়ানিও দেওয়া হয়েছে! রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আরেকটি শাহবাগ কারা বানাতে চায়? কি উদ্দেশ্য তাদের?
গণ আধিকার পরিষদের এই নেতা লিখন, রাষ্ট্রীয় মব বন্ধ করো, দেশকে স্থিতিশীল করো।
এদিকে, জুলাই ঘোষণাপত্র,দ্রুত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং তা স্থায়ী বিধানে যুক্ত করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান করছেন ‘জুলাই যোদ্ধারা। এতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। যদিও অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে ‘জুলাই সনদ দরকার, ইন্টেরিম সরকার’, ‘ইন্টেরিম সরকার, জুলাই ঘোষণা দরকার’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নে, ঘোষণাপত্র দিয়ে দে’ সহ নানান স্লোগান দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, জুলাই সনদ না হওয়ায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন। বারবার এ দাবি জানানো হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
তারা বলেন, জুলাই সনদ সংবিধানে লিপিবদ্ধ করতে হবে। না হলে আমরা জীবন দেব, কিন্তু রাজপথ ছাড়ব না। আমরা শুধু গাছের ফুল দেখতে চাই না, ফল হাতে নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই।
জুলাই সনদ নিয়ে আশ্বাস পূরণ না হলে শাহবাগে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।