যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে আনার কূটনৈতিক উদ্যোগের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমেরিকা আমাদের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করেছিল। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্যে ১৩৫ টাকা দাম বসত। বিষয়টি ছিল আমাদের জন্য একটি বড় অর্থনৈতিক সংকট। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর ও উপদেষ্টাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সেই হার কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়েছে। আমি এই সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, নতুন এই ট্যারিফ রেট বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করেছে, যা বাজার ধরে রাখার পক্ষে ইতিবাচক হবে।
শুল্ক হ্রাস ইস্যুতে সরকারের প্রশংসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ হুঁশিয়ারিও দেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘হাসিনা যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে গণহত্যা চালাতে পারে। তাই আমাদের সবাইকে এখনই সচেতন হতে হবে। যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তাদের প্রতি ঘৃণা তৈরি করতে হবে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
এ দিনের বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিরোধী রাজনীতির পাশাপাশি সরকারের একটি উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেন, যা সচরাচর বিরল।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই গণতান্ত্রিক পরিবেশে দেশ চলুক। সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা যেমন করব, তেমনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।’
আপনার মতামত লিখুন :