ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ সরকার: আখতার

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের জুলাই ঘোষণাপত্রে এক হাজার শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু জাতিসংঘের রিপোর্টে জুলাই গণআন্দোলনে ১৪০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এক বছরের সরকার আহত এবং নিহতের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে, তার একটা ছাপ ঘোষণাপত্রে রয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

আখতার হোসেন বলেন, ঘোষণাপত্রে উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের প্রেক্ষাপট, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্যে ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। এগুলো উল্লেখ করলে ঘোষণাপত্রটি আরও প্রাঞ্জল ও ঐতিহাসিকভাবে পরিপূর্ণ হতো।

তিনি আরও বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, মোদিবিরোধী আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন কিংবা আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড-পরবর্তী ছাত্রআন্দোলনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর অনুপস্থিতি ঘোষণাপত্রকে অতীত বিচ্ছিন্ন করেছে।

এনসিপি সদস্য সচিব বলেন, আমরা বহুদিন ধরে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। জনগণের ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি জনগণের সংবিধান রচনার প্রয়োজনীয়তা আজ আগের চেয়ে অনেক বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক সমাবেশে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২৮টি ধারায় গঠিত এ ঘোষণাপত্রে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের রাজনৈতিক পটভূমি, রাষ্ট্রীয় অবক্ষয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে পড়া, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়।

ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নতুন গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার সূচনা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রের শেষাংশে বলা হয়, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-কে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার ঘোষণাপত্রটিকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করবে।