জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রাসেলসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও আলোচনা সভা আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) যাত্রাবাড়ীতে বিকেলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীর মানুষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই এলাকার মানুষ রাজপথে না নামলে হাসিনার পতন হতো না কখনো। যাত্রাবাড়ীতে সবচেয়ে বেশি মানুষ শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১ বছর পেরিয়ে গেছে, অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর আজ। এই এক বছরের সরকারের বড় ব্যর্থতা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে না পারা। অথচ এই সরকারের দায়িত্ব ছিল আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা, শহীদ পরিবারকে পুর্নবাসন করা। কিন্তু সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। এমনকি শহীদদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে পারে নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের যারা গণহত্যা চালিয়েছিল তাদের অনেককেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করতে পারে নাই। যেসব তরুণরা প্রতিবাদী ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা হাসিনার বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল, যারা কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে নাই। এসব প্রতিবাদী তরুণদের মধ্য থেকে কিছু প্রতিবাদী তরুণদের চাঁদাবাজে পরিণত করেছে একটা গোষ্ঠী। কারা এ তরুণদের বিপদগামী করেছে—তাদেরও একদিন বিচার হবে এই দেশের মাটিতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আওয়ামী লীগ কলকাতায় তাদের দলীয় কার্যালয় করেছে। আমরা একটা বিষয় স্পষ্ট বলতে চাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ গণহত্যা চালিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে এই দেশের মানুষ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। বাংলাদেশে আর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না, তারা চাইলে ভারতে রাজনীতি করতে পারে। এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না, এটা ভারতের একটা রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে সবসময় ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করেছে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসিব মল্লিক।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন: গণধিকার পরিষদের সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, যুব অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জুলাই যোদ্ধা মুজাহিদ মিজান, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের, সিনিয়র সহসভাপতি শাহরিয়ার শাহীন, সহসভাপতি এনামুল হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান সালমারসহ নেতাকর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন :