যুক্তরাষ্ট্রে এনসিপি নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় বিব্রত নন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, এমনটা দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে। এটা (যুক্তরাষ্ট্র) গণতান্ত্রিক দেশ। ১০-২০ জন এসে স্লোগান দিতে পারেন।’
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হায়াত সেন্ট্রাল হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন জামায়াতের এই নায়েবে আমির।
জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান তারেক, যিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন এবং এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা।
এর আগে বিকেল ৩টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর টার্মিনাল ৪ এর বাইরে আসলে এনসিপি নেতা আখতার হোসেন এবং তাসনিম জারাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ডিম নিক্ষেপ করা হয়, যার অন্তত দুটি তার শরীরে আঘাত করে।
ডিম নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জামায়াত নেতা তাহের সাংবাদিকদের বলেন, এই ঘটনায় আমি খুব বিব্রতবোধ করি না এ জন্য যে, এই নেতিবাচক অনুশীলন আগে থেকেই হয়ে আসছে। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। ১০-২০ জন এসে স্লোগান দিতে পারে, ডিম মারতে। তবে এটা নেতিবাচক অনুশীলন নিঃসন্দেহে। কিন্তু এটি হতাশ বা উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা নয়।
এমন ঘটনা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির আরও বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। কাজটা নেতিবাচক, এ ধরনের কাজের অবসান হওয়া উচিত। কাজটা যারা করেছে, তারাই এ জন্য দায়ী। তারাই বাংলাদেশকে অসম্মান করেছে। যার উপরে ডিমে মেরেছে, তার এখানে কোনো দায় নেই, তার অসম্মানিত হওয়ার কিছু নেই।
জেএফকে বিমানবন্দরের বাইরে হেনস্তা হতে হয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও। আওয়ামী সমর্থকেরা তাকে উদ্দেশ্য করেও বাজে স্লোগান দিতে থাকে। অবশ্য সোমবার রাতের মধ্যেই জ্যাকসন হাইটস থেকে গ্রেপ্তার হন আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপকারী মিজানুর রহমান। তার বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে এবং তিনি আওয়ামী লীগ কর্মী বলে জানা যায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন