শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জুবায়ের দুখু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

এনসিপি-গণঅধিকার একীভূত হওয়ার আলোচনা কোন পথে?

জুবায়ের দুখু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম

এনসিপি ও গণঅধিকারের প্রধান দুই নেতা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

এনসিপি ও গণঅধিকারের প্রধান দুই নেতা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

দেশের রাজনীতিতে বইছে নির্বাচন-পূর্ব উত্তেজনার হাওয়া। এরই মধ্যে দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান শক্তিশালী করতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দুটি রাজনৈতিক দল—জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদ—একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে চলছে চুলচেরা আলোচনা। আদর্শিক মিল ও রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘনিষ্ঠতার কারণে এই দুটি দল এক হওয়ার চিন্তা করছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি।

একীভূত হওয়ার প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘অভ্যুত্থান ও রাজপথের আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) একসঙ্গে কাজ করেছে। মানুষ চায় এই দুটি দল একসঙ্গে থাকুক। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।’

তবে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকেই যাচ্ছে। এনসিপির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ভাষ্য মতে, কে নেতৃত্বে থাকবেন, কার অবস্থান কোথায় হবে এই বিষয়গুলোতে এখনো সমঝোতা হয়নি। তাই প্রক্রিয়াটি আপাতত চ্যালেঞ্জের মুখে।

এ বিষয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘একীভূত হওয়ার বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। বিকল্প উপায়ে একসঙ্গে পথ চলার বিষয়েও আলোচনা চলছে।’

গত এক মাসে দুই দলের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে একীভূত হওয়ার বিষয়ে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। আবার অনেকে একীভূত না হওয়ার বিষয় নিয়েও সম্ভাবনা দেখছেন। এ প্রসঙ্গে দুই দলের নেতারা বলেছেন, একীভূত না হলেও জোটবদ্ধ আন্দোলন কিংবা ইস্যুভিত্তিক কর্মসূচিতে তারা একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলছেন অন্য কথা। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। একই সময়ে আমাদের সভাপতি নুরুল হক নুর চিকিৎসার জন্য বিদেশে রয়েছেন। তারা দেশে ফিরলে এক বৈঠকের মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

নাম নিয়ে প্রশ্ন

যদি দুই দল একীভূত হয় তবে দলের নাম কী হবে এ নিয়েও রাজনৈতিক পাড়ায় উঠেছে নানাবিধ প্রশ্ন। এ বিষয়টি নিয়ে দুই দলের একাধিক নেতার এরই মধ্যে মত প্রকাশ করেছেন। তাদের মত অনুযায়ী, একীভূত হলে দলটির নাম হতে পারে ‘এনসিপি’, তবে দলে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। নেতৃত্বের ‘ম্যাচআপ’ এবং কর্মীদের মানসিক প্রস্তুতির কারণে এটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এনসিপির এক নেতা জানান, ‘গণঅধিকার পরিষদ এনসিপিতে যোগ দিতে চায়, এমন একটা আলাপ আমাদের মধ্যে হয়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। নিজেদের ফোরামে কথা বলছি। তাদের (গণঅধিকার পরিষদ) সঙ্গেও কথা বলছি। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

নাম পরিবর্তন নিয়ে জানতে চাইলে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট, এনসিপির নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। এক বা একাধিক দল এনসিপির সঙ্গে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করছে। ইনশাআল্লাহ, তরুণদের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে।’

দুই দলের সম্পর্ক

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ দুই দলেরই প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট প্রায় একইরকম। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ভিত্তি ধরে দুই দলেরই যাত্রা শুরু। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গঠিত হয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। পরবর্তীতে ২০২১ সালে ওই আন্দোলনের নেতারা মিলে গণঅধিকার পরিষদ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

এর আগে, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে একই প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসেবে নুরুল হক নুর, জিএস প্রার্থী হিসেবে রাশেদ খান এবং নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেনও এই প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছিলেন। পরে ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে যখন আন্দোলন-বিক্ষোভ হয়, তখনো এই নেতাদের মাঠে একসঙ্গে দেখা যায়।

পরে ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গড়ে ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িতরাই আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কিছুদিন পর গড়ে তোলে জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই দুই দলের নেতাদেরই আন্দোলনের মাঠে একসঙ্গে দেখা যায়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!