সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ তৈরি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কারও না আসাটা ডিস্টার্বের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে আজ একটা বড় অগ্রগতি হবে। কিছু কিছু দল ডিস্টার্ব করছে, আজকের অনুষ্ঠানে আসছে না। তারা সবসময়ই ডিস্টার্ব করবে। আমরা লক্ষ রাখছি।’
এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক দিন হিসেবে চিহ্নিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি শহীদদের আত্মত্যাগ, জাতির আকাঙ্ক্ষা ও জন-প্রত্যাশা পূরণের সূচনা মাত্র। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে পারব।’
এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। এই সনদ গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের প্রতীক।’
অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সতর্ক করে বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে দেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট দেখা দিতে পারে। তাই এর বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।’
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি, জামায়াতসহ অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন