২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনের সময় গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর দেশের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে তিন মাস পর এই প্ল্যাটফর্মের সব কমিটির কার্যক্রম পুনরায় সচল হলো।
রোববার (২ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছিল, তা এখনো পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা যায়নি এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়েও ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে।’
এতে বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ার কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো পাইনি, যা হাজারো শহীদ ও আহতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রমাণ করে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নির্মাণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকল ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
গত জুলাইয়ে, সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার পরই আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছিল।
২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সব কমিটির স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ। তিন মাস পর সব কমিটির স্থগিতাদেশ পুনঃপ্রত্যাহার করা হলো।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন