মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

সাদিক কায়েমের মামলা বানোয়াট : ছাত্রদল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের লোগো। ছবি- সংগৃহীত

ইসলামি ছাত্রশিবিরের অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা এবং ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও পেজের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন এমন অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাদিক কায়েম যে সাইবার মামলাগুলো করেছেন সেগুলো কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর চরম হস্তক্ষেপ। ছাত্রদল অভিযোগ করে বলেছে, দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে সাদিক কায়েম বাকস্বাধীনতা হরণের আওয়ামী-বাকশালি কৌশল রপ্ত করেছেন। তার দায়ের করা মামলায় ‘মিম পেজ, ট্রল পেজ এমনকি ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি, যা ছাত্রশিবিরের ‘অসহিষ্ণুতার বহিঃপ্রকাশ’ বলে দাবি সংগঠনটির।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী সরকারের সাইবার আইন বিলুপ্ত করে মতপ্রকাশের পথ উন্মুক্ত করেছে। এখনকার সাইবার সুরক্ষা আইনে মানহানির মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। কিন্তু সাদিক কায়েম ‘আইনের অপব্যবহার করে শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন।’ 

ছাত্রদলের দাবি, তিনি যে বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তা সাইবার সুরক্ষা আইন কিংবা অন্য কোনো আইনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না। বরং আইনি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই তার উদ্দেশ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৮ ধারা উল্লেখ করে বলা হয় কেউ জেনেশুনে মিথ্যা অভিযোগ করলে সেই অপরাধের সমপরিমাণ দণ্ড ভোগ করতে হবে। ছাত্রদল আরও অভিযোগ করে, কিছু দিন আগে সাদিক কায়েম নিজেই একজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ অভিযোগ ফেসবুকে প্রচার করেছিলেন, এবং তার অনুসারীরা নারীদের হেনস্তা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর ‘সংঘবদ্ধ সাইবার সন্ত্রাস’ চালিয়ে যাচ্ছে।

ছাত্রদল জানায়, ডাকসুর ভিপির মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ পদে থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা দায়ের করা ‘ন্যাক্কারজনক ও নজিরবিহীন’। তারা অভিযোগ করে, সাদিক কায়েম ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ‘ফ্রিডম অব অনলাইন এক্সপ্রেশন’-এর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন এবং ডাকসুর ভিপি পদকে কলঙ্কিত করেছেন।

এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সাদিক কায়েমকে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন।
 

Link copied!