ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইশরাক হোসেনকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ- এনসিপি মিলে একাট্টা হয়েছে। এবার এনসিপির এক নেতার হয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি হতে চাওয়া আইনজীবী এডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান।
রিগ্যান একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সংগঠক হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ারের পক্ষে গত ২২ মে তিনি এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আইনজীবীকে দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ায় এনসিপির ওই নেতাকে নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন, ইশরাক হোসেনকে ঠেকাতে 'আ.লীগ-এনসিপির একট্টা।'
তবে, অনেকেই বলছেন এর মুল কলকাঠি নাড়ছেন পতিত হাসিনা সরকারের অবৈধ মেয়র ও হাসিনার ভাতিজা ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, পতিত আওয়ামী লীগের দোসর এবং এনসিপির নেতারা।
এনসিপির ওই সংগঠকের বাড়িও লক্ষীপুরে। ঢাকার বংশাল এলাকায় কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে আওয়ামী আইনজীবী প্যানেলের বিদ্রোহী গ্রুপ যুগলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজল শামস পরশের স্ত্রী এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভাঙচুর চালায় আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা।
এ ঘটনায় ২০২৩ সালে ১৫ মার্চ রিগ্যান, এডভোকেট যুথিসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও নেতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। ২১ মার্চ তিনি জামিন পান।
জামিনের পর এডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যানের স্ত্রী এডভোকেট তাহেরা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রিগ্যান দেশের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করে লেখালেখি করেন। যে কারণে তাকে অনেকে সরকার বিরোধী মনে করে। কিন্তু সে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হতে চাওয়া এই আইনজীবী এখন এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রাজনৈতিক কর্মী হোসাইন মোহাম্মদ আনোয়ারের হয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছেন।
গত ২০ মে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়েও নোটিশ পাঠান তিনি। একই দিনে এনসিপির ওই কর্মী ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দ্রুত আয়োজনের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন। এর পর থেকেই সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে রিগ্যানের বেশ কিছু ছবি। তার ফেসবুক প্রোফাইলে এখনো শেখ মুজিব, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ছবি, পোস্টারের ছড়াছড়ি।
আপনার মতামত লিখুন :