ঢাকা সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫

দেশে দুর্নীতি বাড়ছে, তাই ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় জনগণ: এ্যানী

তরিক শিবলী
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দুর্নীতির মাত্রা আবারও বেড়েছে। কারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা দেশের জনগণ জানে। ড. ইউনুসের আমলেও দুর্নীতি হবে-এমনটা আশা করেনি। এই দুর্নীতি রোধ করতে হলে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন, আর সে জন্যই জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই দেশের সব রাজনৈতিক দলের উচিত ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অবস্থান নেওয়া।

শনিবার (৩১ মে) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দেশের জনগণ বিগত ১৭ বছর ধরে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রতিবেশী দেশের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে তিনটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন, মোস্তফা সরকার, মীর হোসেন মুসা ও বাদল মিয়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান শুরুর কিছু আগে বিএনপির দুইটি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।

এ প্রসঙ্গে শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের হামলা ও নির্যাতনের ঘটনা কেউ ভুলে যাননি। অথচ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ করে দলের ক্ষতি করছেন। এভাবে চলতে থাকলে পলাতক সরকারের অনুগতরা আরও বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ পাবে।

তিনি আরও বলেন, ‌‌‌‌‌‘জিয়াউর রহমানের আদর্শে যাঁরা বিএনপি করেন, তাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন না। জিয়া রাজনীতি করেছেন মাটি ও মানুষের জন্য। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। অহেতুক বিশৃঙ্খলা করে কেউ পার পাবেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখে যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’

অনুষ্ঠান শেষে প্রায় ৮০০ দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়।