গত মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ এবং পরবর্তীতে তার দেশে ফিরে আসা—এই দুটি ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিশেষ করে, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি হয়েও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কিশোরগঞ্জের এক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে তার আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেশত্যাগ করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যখন চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়েন, তখন এই বিষয়টি ঘিরে আন্দোলন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তৎপরতা নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ‘তিনি কীভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেশ ত্যাগ করলেন? কেন তাকে আটকানো হয়নি?’
সেই সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘দরকার হলে তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরে আনা হবে।’
এমনকি, যদি হত্যা মামলার আসামিদের শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তাহলে তিনি নিজে দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এক মাসের চিকিৎসা শেষে রোববার রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশে ফিরে এসেছেন।
তার বিদেশ যাত্রা এবং ফিরে আসার এই দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে আবারও উত্তাপ ছড়িয়েছে, যেখানে তার বিরুদ্ধে থাকা হত্যা মামলার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :