কোরবানি একটি ইবাদত, যা নিজের পক্ষ থেকে বা অন্যের পক্ষ থেকে সওয়াবের নিয়তে করা যায়। তবে যার পক্ষ থেকে কোরবানি করা হয়, তার জীবিত বা মৃত হওয়া, সাংসারিক সম্পর্ক এবং ইজাজত বা অনুমতি এসব বিষয় শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ শর্তের অন্তর্ভুক্ত।
নবীর (সা.) নামে কোরবানি বিষয়ে শরিয়ত যা বলে
নবীর নামে কোরবানি করা শরিয়তসম্মত নয়। কেননা, তিনি ইবাদতের প্রয়োজনমুক্ত (غني عن الأعمال) এবং তাঁর জন্য আল্লাহতায়ালা এরই মধ্যেই জান্নাত ও সর্বোচ্চ মর্যাদা নির্ধারিত করে দিয়েছেন।
কোরবানি ‘ইসালে সওয়াব’ হিসেবে করতে হয়, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য ‘ইসালে সওয়াব’ করার প্রয়োজন নেই, কারণ তার জন্য দোয়া ও দরুদ পাঠ করাই উম্মতের জন্য নির্ধারিত আমল।
নবীর নামে কোরবানি করার প্রচলন সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন কিংবা ইমামগণের যুগে ছিল না। অতএব, এটি বিদআত রূপে গণ্য হতে পারে, যদি কেউ তা নিয়মিত বা প্রথা হিসেবে পালন করে।
কী করা উচিত?
নবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইলে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করুন, সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপন করুন এবং তার দেখানো পথে কোরবানি আদায় করুন।
নিজের বা আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করে তাদের জন্য দোয়া বা ইসালে সওয়াব করতে পারেন, যা শরিয়তসম্মত।
নবী করিম (সা.)–এর নামে কোরবানি করা শরিয়তসম্মত নয়। এটি না কোরআন, না হাদিস, না সাহাবাদের আমল দ্বারা প্রমাণিত। বরং এর পরিবর্তে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য সুন্নাহ পালনে যত্নবান হওয়াটাই প্রকৃত অনুসরণ।
আপনার মতামত লিখুন :