বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি খুঁজতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ একটি বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এই পদক্ষেপ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। এর আগে বুধবার (৪ জুন) শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানিয়েছিলেন, নানা অসঙ্গতি দূর করতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং যোগ্য উপাচার্যদের খুঁজে নিতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। এ ঘোষণার একদিন পরেই এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো।
তিনি আরও বলেন, আগ্রহীরা আবেদন করবেন এবং এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) পদে জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা ও গবেষণা, এবং অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.shed.gov.bd) নোটিশ বোর্ড মেন্যুতে পাওয়া যাবে।
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই পিএইচডি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কুয়েটের জন্য পিএইচডি ডিগ্রিটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ের হতে হবে। আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গ্রহণযোগ্য হবে।
আবেদনকারীর কমপক্ষে ২০ বছরের শিক্ষকতা অথবা ৫ বছর গবেষণা ও পিএইচডি ডিগ্রির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১৫ বছরের শিক্ষকতা অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত- যেমন শিক্ষা পরিকল্পনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ছাত্রকল্যাণ এবং অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতাও আবশ্যক।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, বিশেষ শিক্ষা পরিকল্পনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ছাত্রকল্যাণ ও অ্যাকাডেমিক কাজে নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাকাডেমিক/প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের অতিরিক্ত অভিজ্ঞতা বিবেচিত হবে।
আন্তর্জাতিক জার্নালে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রকাশনা ও গবেষণা থাকতে হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
আবেদন পাঠানোর শেষ সময় ২৬ জুন বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন পাঠাতে হবে সিনিয়র সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর।
এ নতুন প্রক্রিয়া দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে আসার সুযোগ তৈরি করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে
আপনার মতামত লিখুন :