ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

মার্কিন শুল্কের হার কমিয়ে আনা রপ্তানি খাতের জন্য সন্তোষজনক: আমীর খসরু

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে রপ্তানি খাতের জন্য ‘সন্তোষজনক অবস্থা’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১ আগস্ট) গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমীর খসরু বলেন, এটা জয়-পরাজয়ের কোনো বিষয় নয়। প্রতিযোগিতার বিবেচনায় আমরা এখন তুলনামূলকভাবে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। বাংলাদেশ ২০ শতাংশ, পাকিস্তান ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২০ শতাংশ, আর ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দিচ্ছে। এই হিসেবে আমাদের অবস্থান মোটামুটি ভালো।

তিনি বলেন, এই ট্যারিফ হার আপাতত আমাদের রপ্তানিতে বড় ধরনের ধাক্কা দেবে না। কিন্তু পুরো বিষয়টা বিশ্লেষণ করতে হলে জানতে হবে এর বিপরীতে আর কী কী শর্ত বা সমঝোতা হয়েছে।

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যারিফ তো শুধু একটি অংশ। পুরো বিষয়টি আসলে একটা প্যাকেজ ডিল যার মধ্যে অনেক আলোচনা, বোঝাপড়া, স্বার্থ আদান-প্রদান জড়িত। কিন্তু আমরা শুধু ট্যারিফের হার জানি, এর পেছনের আলোচনা, চাপ বা শর্তগুলোর বিষয়ে এখনও কোনো কিছু জানি না।

তিনি আরও বলেন, ট্যারিফের বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত এর প্রকৃত প্রভাব আমরা মূল্যায়ন করতে পারছি না। সরকারের উচিত এসব বিষয় খোলাসা করা।

বাণিজ্য সচিব সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সম্ভাবনার কথা জানান। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমীর খসরু বলেন, অবশ্যই কিছু না কিছু করতেই হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্যই তাদের পণ্য রপ্তানির স্বার্থ রক্ষা করা। তাই বোয়িং কেনা বা অন্য কোনো চুক্তি এর অংশ কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

শুল্ক কমলেও এর প্রভাব কীভাবে অর্থনীতি ধারণ করতে পারবে, সে বিষয়ে সতর্ক মন্তব্য করে খসরু বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি, ব্যবসায়ী সমাজ এবং রপ্তানি খাত এটি কতটা গ্রহণ করতে পারবে, সেটাই বড় প্রশ্ন। এটি শুধু কাগজে কলমে একটা হার না, এর বাস্তবিক ইমপ্যাক্ট অনেক বড় হতে পারে।

খসরু মনে করেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার শুধু আমেরিকান নির্ভরশীল হলে ঝুঁকি বাড়বে। তিনি বলেন, আমাদের রপ্তানি বাজার আরও ডাইভারসিফাই করতে হবে বিদেশেও, দেশের অভ্যন্তরেও। বৈচিত্র্যময় রপ্তানি পণ্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।