‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান আমাদের গর্বের অর্জন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের পর রূপালী বাংলাদেশকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া জানান।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার দেওয়া কথা রেখেছেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এর আগে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক দূর পথ অতিক্রম করে এসেছি। আমাদের জাতীয় জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে।’
নজরুল ইসলাম খান তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঘোষণাপত্র ২৪-এর জুলাইয়ের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানেরই অর্জন বলে মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে আমরা পূর্ণভাবে ধারণ করি। জুলাই বিপ্লব হলো ১৬ বছর ধরে দেশের সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা। সাধারণ মানুষের ভোটার অধিকার ফিরিয়ে আনতেই গণঅভ্যুত্থান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন না করা হলে অতীতের মতোই পুরোনো বন্দোবস্ত আবারও ফেরত আসবে, জনগণকে অধিকারহীন করবে। এজন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানাবো, প্রতিটি মানুষ যেন এক হয়ে জুলাইয়ের হত্যাযজ্ঞের বিচার, শহীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ায় জাগ্রত পাহারাদার হয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে ন্যায়বিচার, সংস্কার, নির্বাচনের পথেই যা অর্জিত হবে বলে মনে করি।
আপনার মতামত লিখুন :