ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৬:৫২ পিএম
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ছবি- সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  নোটিশে তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে ফজলুর রহমানকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির পল্টন অফিসের এক সহ-দপ্তর রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। তবে তার চিঠিটি গণমাধ্যমেকে আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক রাজন রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঘটনা হয়তো সঠিক।  এখনো চিঠির বিষয়টি জানি না। পরে হয়তো জানানো হবে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। মহিমান্বিত এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে। এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন।’

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশো’র অধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন। সুতরাং এ ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলাপরিপন্থী বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে বলা হলো।’

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে কিংবা জবাব সন্তোষজনক না হলে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।