আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে ঘোষিত তালিকায় নেই দলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ও সিনিয়র নেতার নাম, যাদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় জানান, এটি প্রাথমিক তালিকা। দল চাইলে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন বা পরিবর্তন আনা হতে পারে।
ঘোষিত তালিকায় দেখা গেছে, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানের নাম নেই। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও আসাদুজ্জামান রিপনও এবার মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
এ ছাড়া চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আসলাম চৌধুরী ও আমিনুর রশীদ ইয়াসিন এ চারজনের নামও তালিকায় পাওয়া যায়নি।
প্রভাবশালী যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যেও অনেকের নাম বাদ গেছে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল এবং নবনিযুক্ত যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবীর তিনজনের কেউই তালিকায় নেই। তবে রিজভী আহমেদ নিজে এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা এবারও আলোচনায় ছিলেন, তবে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় তার নামও নেই।
ঢাকা-১০ আসনে পূর্বে প্রার্থী ছিলেন আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম ও রবিউল ইসলাম রবি তবে এবার তাদের কেউই তালিকায় স্থান পাননি। একইভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, যিনি মাগুরা আসন থেকে মনোনয়নের চেষ্টা করছিলেন, তাকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি এবার ‘এক পরিবার, এক প্রার্থী’ নীতি অনুসরণ করছে। এ কারণে সিনিয়র নেতাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী হাসিনা আহমদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী রুমানা মাহমুদ এই তিনজনকেও প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তালিকায় আরও বাদ পড়েছেন গিয়াস কাদের চৌধুরী, গোলাম আকবর খোন্দকার, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, কামরুজ্জামান রতন, নাজিম উদ্দীন আলম, আব্দুল কাদির জুয়েল, রফিকুল ইসলাম মজনু, বজলুল করিম আবেদ, হাসান আল মামুন ও সাইফুল ইসলাম ফিরোজসহ বহু কেন্দ্রীয় নেতা।
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব আসনে দলের সিনিয়র নেতারা মৃত্যুবরণ করেছেন, সেসব আসন থেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
        
                            
                                    
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
                                    
                                    
                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                                                                                    
                            
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন