রাজধানীর উত্তরা এলাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রাণ বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করেন প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর মাহরিন চৌধুরী। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি সামনে দাঁড়িয়েছিলেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ঢাল হয়ে, আর তাতেই বেঁচে গেল অনেক জীবন।
মাহরিন চৌধুরীর এই আত্মত্যাগ মুহূর্তেই নাড়া দিয়েছে গোটা জাতিকে। কেউ তাকে বলছেন ‘শ্রেষ্ঠ মা’, কেউ ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা’। কারণ তিনি শুধুই দায়িত্ব পালন করেননি, করেছিলেন নিজের প্রাণ দিয়ে। দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ঘিরে শোক, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বন্যা বয়ে গেছে। তার এই বীরত্বপূর্ণ এবং হৃদয়বিদারক ঘটনাকে অনেকে তুলনা করছেন যুদ্ধের ময়দানে জীবন উৎসর্গ করা সৈনিকের সঙ্গে।
মাহেরিন চৌধুরীকে নিয়ে অনেকের মত আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তিনি লিখেন, “মা হিসেবে আপনি স্বার্থক মাহরিন চৌধুরী! আপনি একজন আদর্শ শিক্ষিকা এবং একজন আদর্শ মা। আপনি আপনার শিক্ষার্থীদের জন্য যে ভালোবাসা, যত্ন ও দায়িত্ব পালন করেছেন, তা একজন আদর্শ মায়েরই প্রতিচ্ছবি। এমন মা আল্লাহ তা’য়ালা এই জাতিকে আরও বেশি করে দান করুন। আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে ক্ষমা করুন, আপনার প্রতি রহম করুন এবং আপনাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন। আমিন।”
জানা গেছে, মাহরিন চৌধুরী দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। একসময় তিনি শিক্ষকতা থেকে প্রশাসনিক দায়িত্বে যোগ দেন এবং বর্তমানে যেই ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, সেই ভবনের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি।