ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

সাঈদীকে আজহারীর স্মরণ, ‘হত্যা’র অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত জামায়াতের

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০৭:২৫ এএম
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি- সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার মৃত্যুকে আবারও ‘চিকিৎসায় অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিযোগ তুলেছে এবং এর বিচার দাবি করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ড. মিজানুর রহমান আজহারী একটি পোস্ট দেন, যা অল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

পোস্টে তিনি লেখেন, “আল্লামা সাঈদী রহিমাহুল্লাহ-র অনন্য খিদমাহ জাতি যুগ যুগ স্মরণ করবে। আল্লাহ তাআলা তার পবিত্র কালামের একনিষ্ঠ এই বাণী বাহককে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন।” এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পোস্টটিতে ৫ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া এবং সাড়ে ৭২ হাজার মন্তব্য জমা পড়েছে এবং ১৩ হাজারের বেশিবার শেয়ার হয়েছে।

এদিকে, সাঈদীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণেই সাঈদীর মৃত্যু হয়।

তিনি দাবি করেন, ‘হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকেও সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। ঢাকায় তার জানাজা পর্যন্ত আদায় করতে দেওয়া হয়নি।’

একই সুরে আরও কঠোর অভিযোগ করেছেন দলের বর্তমান নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি সাঈদীকে ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ উল্লেখ করে অভিযোগ করেন, তাকে ‘চিকিৎসার মাধ্যমে হত্যা’ করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে সাঈদীর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর পরদিন ভোরে পুলিশের পাহারায় মরদেহ পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই দাফন করা হয়। ঢাকায় জানাজার অনুমতি না দেওয়া এবং সেসময় পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।