ছয় বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সংশোধিত গঠনতন্ত্র এবং ব্যাংক হিসাবের নম্বর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখায় জমা দেন জামায়াত নেতারা।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু হলে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতসহ ৩৯টি দল নিবন্ধন পায়। তখন ইসি সংবিধান ও আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে দলগুলোকে গঠনতন্ত্র সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল। এ সময় জামায়াতকেও একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়। তবে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
নিবন্ধন বাতিলের আগে ২০১৩ সালে সর্বশেষ আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছিল জামায়াত। জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চলতি বছর দলটি পুনরায় নিবন্ধন ফিরে পায়।
আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই এক যুগ পর দলটি আবার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়। কিন্তু তাতে ব্যাংক হিসাব নম্বর না থাকায় ইসি প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার দলের হালনাগাদ তথ্যসহ চিঠি ইসিতে জমা দেন।
চিঠিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর ‘প্রতিকূল পরিস্থিতির’ কারণে দলটি কোনো ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করতে পারেনি। এখন ইসলামী ব্যাংকে নতুন হিসাব খোলা হয়েছে, যা ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জামায়াতের গঠনতন্ত্রের ২২তম সংশোধনী কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে অনুমোদিত হয়, যা গত ২৫ জুলাই ইসিতে জমা দেওয়া হয়েছিল। ইসির তাগাদার পর বুধবার আরেকটি কপিও জমা দেওয়া হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক হিসাব নম্বর ও সংশোধিত গঠনতন্ত্র জমা দিয়েছে।’
তবে গঠনতন্ত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন