আমরা ব্যবসায়ীদের কমফোর্ট জোন দিতে পারিনি: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাজনীতির বাইরে কোনো অর্থনীতি টেকসই হতে পারে না। বরং রাজনীতিই রাষ্ট্রের সব নীতি নির্ধারণ ও সমন্বয়ের মূল চালিকাশক্তি। যেমন মগজ ঠিক থাকলে শরীর ঠিকভাবে কাজ করে- তেমনই সঠিক রাজনৈতিক কাঠামো ছাড়া অর্থনীতি ও অন্যান্য খাতও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না।’

শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলন ২০২৫’-এ প্রধান আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ব্যবসায়ীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এখনো পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য কাঙ্ক্ষিত সুবিধা ও কমফোর্ট জোন তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন যা করতে পারিনি, ভবিষ্যতেও কি পারব না- এ প্রশ্ন আমাদের সামনে আছে।’

করব্যবস্থা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের টোটাল ডেভেলপমেন্ট মূলত দুই উৎস থেকে আসে— ট্যাক্স এবং বিদেশি ঋণ। একজন ভিক্ষুকও করদাতা, আবার একজন বড় শিল্পপতিও করদাতা। শিল্পপতিরা কীভাবে কর দেন- তা বলা প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভিক্ষুক কীভাবে করদাতা? সারাদিন ভিক্ষা করে পাওয়া অর্থ দিয়ে যখন কোনো পণ্য কেনে, তখন তাকেও কর দিতে হয়।’

জামায়াতের নায়েবে আমির হলেন এটিএম আজহার

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি আরও বলেন, ‘শিশু আজ জন্ম নিল- তার বাবা-মা আত্মীয়স্বজন যখন কিছু কিনে তাকে দেয়, সেখানেও কর দিতে হয়। অর্থাৎ নবজাতকও করদাতা। বিদেশ থেকে যে ঋণ আনা হয়, তার বোঝাও সমানভাবে বহন করতে হয় সদ্যোজাত শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাইকে।’

অর্থনীতি ও রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক এবং সমন্বিত নীতি কাঠামোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও কার্যকর রাষ্ট্র ব্যবস্থার আহ্বান জানান।