ঢাকা রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপি ও জামায়াতের পর এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শনিবার (২৪ মে) সাড়ে ৯টার পরে এ বৈঠক শুরু হয়। এনসিপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

বৈঠকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন— পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা।  

এর আগে শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

বৈঠকে তিন উপদেষ্টাকে বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠনসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আলোচনার বিষয়বস্তু আমাদের আগে জানানো হয়নি। তবে বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিতর্কিত উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি জানানো হয়েছে এতে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা বিচারের পক্ষে। তবে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চাই আমরা। যেই বিচারগুলো বাকি থাকবে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলেও বিচার চলবে।

নির্বাচন যত বিলম্ব হবে স্বৈরাচার ফিরে আসার শঙ্কা তৈরি হবে জানিয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দ্রুত রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। সংস্কার চলমান থাকবে। আমরা ক্ষমতায় গেলেও তা অব্যাহত থাকবে।

তার আগে, কয়েকদিন ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও মতপার্থক্যের জেরে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের চিন্তাভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। এরই প্রেক্ষিতে এই সংলাপের আয়োজন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিএনপির বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় জামায়াতের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সরকারের কাছে নির্বাচন ও সংস্কারের রোডম্যাপ চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান  বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি যে, দুইটা বিষয় স্পষ্ট করা দরকার। প্রথমত, নির্বাচন কখন হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার এবং বিচারের প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান কিছু আসতে হবে। সব সংস্কার এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা মাত্র পাঁচটা বিষয়ের সংস্কারে হাত দিয়েছেন। এর মধ্যে জুলাই প্রক্লেমেশন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সংস্কারের পর নির্বাচন চান কি না- এমন প্রশ্নের জবাব জামায়াতের আমির বলেন, বিএনপি বারবার বলেছে, তারা সংস্কারের বিপক্ষে নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচন ও সংস্কার একসঙ্গে চলতে পারে বলে তাদের মত। কিন্তু নির্বাচনের জন্য সরকারকে আমরা কোনো সময় বেঁধে দেইনি। তবে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন হওয়া ভালো।