রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের নিচে এই হামলা হয়।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ককটেল বিস্ফোরণের সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন কার্যালয়ের নিচে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি নিরাপদে রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। এর আগের রাতেও একই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দীন সিফাত বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা আমাদের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে হবে। যদি ব্যর্থ হয়, তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব জানান, ‘আখতার হোসেন কার্যালয়ের নিচে নামার সময় আশপাশে ৫০-৬০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বাংলামোটর মোড়ে সিগন্যাল ছাড়ার পর হঠাৎ একটি সাদা রঙের হাইয়েস গাড়ি থেকে ককটেল ছুড়ে মারা হয়। এরপর গাড়িটি দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও জানান, ‘ককটেলটি কারও শরীরে সরাসরি লাগেনি, তবে কাছাকাছি পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক শফিকুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাজারীবাগ থানা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব সুমন হোসেন এবং এনসিপি অফিস কর্মচারী মনির আহত হন।’
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জয়নাল আবেদীন শিশির জানিয়েছেন, আহত চারজন হলেন, শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক শফিকুল ইসলাম, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুর রব, ছাত্র আন্দোলনের সুমন হোসেন এবং ঢাকা মহানগর নেতা আসিফ উদ্দিন সম্রাট।
এ বিষয়ে রমনা থানার এসআই মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, প্রাইভেটকার থেকে ককটেল ছোড়া হয়েছিল। এতে কয়েকজন আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।