ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

দুদকের বিরুদ্ধে হাসনাতের ফেসবুক পোস্ট, কমিশনের প্রতিবাদ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৩:৩০ এএম
হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে দুদক।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। পোস্টটিতে তিনি যাচাই-বাছাই ছাড়াই কমিশনের মহাপরিচালকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন।

প্রতারণা প্রসঙ্গে দুদক জানায়, একটি প্রতারক চক্র কমিশনের চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক বা কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলা থেকে অব্যাহতির কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দুদকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত নয় বলেও স্পষ্ট জানানো হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং কয়েকজন প্রতারককে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

দুদক বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, এরূপ প্রতারণার শিকার হয়ে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুদককে দোষারোপ করেন, যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কারও কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে টাকা দাবি করা হলে, কিংবা দুর্নীতির কোনো তথ্য পেলে দুদকের টোল ফ্রি হটলাইন ১০৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, স্বাধীন বাংলাদেশে দুদকের চা খাওয়ার বিল ১ লাখ টাকা।

তিনি আরও লেখেন, আপনার নামে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ না থাকলেও সেটার ক্লিয়ারেন্স নিতে আপনাকে ১ লাখ টাকা দিতে হবে। মাহমুদা মিতুর কাছে এভাবে টাকা দাবি করা হয়েছে। দুদকের ডিজি আকতার ও একজন ডিডি এই টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

তিনি পোস্টে আরও লেখেন, আওয়ামী লীগ আমলে বিরোধী দলের নেতাদের হয়রানি করেছে দুদক। এখনো সেই সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি কমিশন। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে চায়ের বিলের নামে ঘুষ চাওয়া হবে না।

এই ঘটনায় দুদক তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেছে, যারা প্রতারণা করছে, তারা কমিশনের নাম ভাঙিয়ে এ কাজ করছে, এবং কমিশনের প্রকৃত কর্মকর্তাদের সঙ্গে এদের কোনো সম্পর্ক নেই।